Ad Code

হারাতে বসেছে রাজা লক্ষ্মণ সেনের স্মৃতিচিহ্ন

  মো. রফিকুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ


চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী গোমস্তাপুর উপজেলা প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে পরিচিত। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র রহনপুরসহ আশপাশে রয়েছে অগণিত প্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শন। ইতিহাসবিদদের মতে, রাজা লক্ষ্মণ সেনের আমলে রহনপুর বাণিজ্যনগরী হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং এর কারণে রহনপুরেই পুরেই তিনি তিনি গড়ে তোলেন সুরম্য অট্টলিকা ষাঁড়বুরুজ, যা বর্তমানে অবৈধ দখলদারদের কারণে বিলীন হতে চলেছে। জনশ্রুতি রয়েছে, খাঁড়বুরুজ নামে খ্যাত এই অট্রালিকাটির প্রকৃতও নাম শাহবুরুজ। শাহ শব্দের অর্থ বাদশা আর বুরুজ শব্দের অর্থ অট্রালিকা বা বালাখানা, অর্থাৎ বাদশাহর অট্রালিকা। যা পরবর্তীতে লোকমুখে খাঁড়বুরুজ নামে খ্যাতি লাভ করে। এ অট্রলিকার অদূরে গোলাকার গুম্বুজ আকৃতির একটি ভবন আছে। এটিই রাজা লক্ষ্মণ সেনের বৈঠকখানা ছিল এবং এখানেই তিনি তার দরবার ঢালাতেন বলে জানা যায়। এছাড়াও জনশ্রুতি রয়েছে, বাংলা বিজয়ী ইখতিয়ার


"বিলীনের পথে এই ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনটি অবৈধ দখলমুক্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য এলাকাবাসী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।"


উদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি এপথে বাংলায় আগমন গমন করেন করেন এবং এবং এ এ স্থানে কিছু কিছু সময় অবস্থান করেন। ইতিহাসে পরিচিত নদিয়া এ অট্রালিকার পাশেই অবস্থিত। যা পরবর্তীতে নওদা নামে পরিচিত লাভ করে। লোকমুখে শোনা যায় বখতিয়ার খিলজির আগমনের সংবাদে সংবাদে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে রাজা লক্ষণ সেন এ স্থান থেকে নদী পথে পলায়ন করেন। বর্তমানে রাজা লক্ষ্মণ সেনের ঐতিহ্যমন্ডিত অট্টালিকাটি ভেঙে একটি পাহাড়ের আকার ধারণ করেছে। র ধারণ করেছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এর চারপাশে বিভিন্ন


বনজ গাছ লাগানো হয়েছে। আর অবৈধ দখলদাররা এর আশপাশে অসংখ্য বসতবাড়ি গড়ে তুলেছে। শুধু তাই নয়, অবৈধ দখলদাররা পাহাড় কেটে অট্রালিকাটির ইটি ও খোয়া নিয়ে গেছে। এমনকি এ অট্টালিকাটির ভিতর মূল্যবান মূর্তি ও বিভিন্ন সম্পদ আছে এমন ধারণা থাকায় রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা মাটি খোঁড়ার চেস্টা করেছে এমন আলামতও পাওয়া যায়। এলাকাবাসী জানান, রাতে এখানে মাদকসেবীদের নিয়মিত আসর বসে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের একটি অনুসন্ধানী দল এখানে এসে পরিদর্শন করে গেলেও পরে আর কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী নওদাপাড়ায় নির্মিত ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিলীন হতে চলেছে। বর্তমানে বিলীনের পথে এই ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনটি তঅবৈধ দখলমুক্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য এলাকাবাসী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।


©বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রত্রিকা থেকে সংগৃহীত 

১৯.০৪.২০২৫ ইং

Post a Comment

0 Comments

Close Menu